জাল ভোটই জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগের এখন একমাত্র সম্বল বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে প্রবর্তক মোড়, পাঁচলাইশ আবাসিক ও মেডিকেল এলাকায় নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট বিতরণের সময় ডা. শাহাদাত হোসেন এ মন্তব্য করেন। এসময় তিনি নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী, দোকানদার ও সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন।
ডা. শাহাদাত বলেন, ‘বিগত তিনটি নির্বাচনের মতো শেখ হাসিনা সরকার আবারও একতরফা, পাতানো নির্বাচন করতে যাচ্ছে। সরকার এবারও ভোট ডাকাতির উৎসব করতে চায়। কিন্তু তামাশা ও প্রহসনের এ নির্বাচনে কোন বিরোধী দল অংশগ্রহণ করছে না। দেশের জনগণেরও এই নির্বাচনে ন্যূনতম কোনো আগ্রহ নেই। শোনা যাচ্ছে আওয়ামী লীগের সব প্রার্থীরা ভোটার সংগ্রহের জন্য এবং জাল ভোট দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রীয় ভোটার আইডির সার্ভার ব্যবহার করছে। ভোট ডাকাতিতে জড়িত আওয়ামী লীগের নেতাদের মুঠোফোনে জাতীয় ভোটার আইডির মূল সার্ভার অপারেটিং হচ্ছে। লক্ষ্মীপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-নির্বাচনে ৫৭ সেকেন্ডে ৪৬ টি জাল ভোট দেওয়ার রেকর্ড হয়েছে। এ নির্বাচনেও তারা গায়েবি জাল ভোট দিয়ে বিদেশীদের সুষ্ঠু নির্বাচন দেখানোর আয়োজন করেছে। ভোটার টানতে সাধারণ মানুষের এনআইডি, সরকারি সুবিধাভোগীদের কার্ড ও অফিসের কার্ড নিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।’
তিনি বলেন, ‘একতরফা নির্বাচনের নামে হাজার কোটি টাকা ধ্বংস করে দেশের অর্থনীতি ক্ষতি করা হচ্ছে। গত তিনটি নির্বাচনে দেশের তরুণ প্রজন্মের ভোট ডাকাতি করা হয়েছে। এ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার মানে হল ক্ষমতাসীনদের সব অন্যায় জুলুম ও দুর্নীতিকে বৈধতা দেওয়া। এসময় ভোট বর্জনের আহ্বান জানান তিনি।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য জাকির হোসেন, চালক দলের উপদেষ্টা জসিম উদ্দিন, সাবেক ছাত্রদল নেতা মো. আনিস, মহানগর সিএনজি চালক দলের সভাপতি নুর মিয়া মধু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রাকিব, সহ-সভাপতি মো. খোকন, মো. ইদ্রিছ, মো. ইসরাফিল, আইয়ুব আলী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইসমাঈল, নুর আলম, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাবেক কাউন্সিলর আবুল হাশেম।