বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনা ঘটে। শুনানি চলাকালে আমুর আইনজীবী মহসিন রেজা আদালতের অনুমতি নিয়ে তার জন্য আনা খাবার দিতে চান। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী এর বিরোধিতা করেন। পরে শুনানি শেষে আদালত সেই আবেদন নাকচ করেন।

আইনজীবী মহসিন রেজা বলেন, “আসামিকে এক ঘণ্টা পরপর খাবার খেতে হয়। এজন্য তার পছন্দের খাবার স্যান্ডউইচ ও ড্রাই ফুড আনা হয়েছিল। কিন্তু আদালত অনুমতি দেননি। আমু একজন বয়স্ক ব্যক্তি এবং নানা অসুখে ভুগছেন। তাই তাকে নিয়মিত খাবার খেতে হয়।”

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বুধবার সকালে কারাগার থেকে আমুসহ মামলার আরও ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। তারা হলেন: সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, আনিসুল হক, আব্দুর রাজ্জাক ও যাত্রাবাড়ী-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু।

পুলিশের কঠোর নিরাপত্তায় সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে আসামিদের আদালতে আনা হয়। এসময় তাদের হাতে হাতকড়া, মাথায় হেলমেট ও বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরানো ছিল। শুনানি শেষে সকাল সোয়া ১০টার দিকে আসামিদের আবার আদালতের হাজতখানায় নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, মামলার অভিযোগে বলা হয়, জুলাই আন্দোলনের শেষ দিন ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন শ্রমিক মো. রিয়াজ (৩৫)। ওই ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

সিটিজিপোস্ট/ এসএইচএস