জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের "বান্দরবান হলো শাস্তিস্বরূপ চাঁদাবাজদের পাঠানোর জায়গা"— এমন মন্তব্য ঘিরে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে। তার এই মন্তব্যকে 'চরম অবমাননাকর ও বৈষম্যমূলক' আখ্যা দিয়ে রবিবার (২০ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় বান্দরবান প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ‘বান্দরবান ছাত্রসমাজ’।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা সারজিস আলমের বক্তব্য প্রত্যাহার এবং প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান। তারা বলেন, না হলে এনসিপিকে বান্দরবানে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের বান্দরবান জেলা শাখার সভাপতি আসিফ ইকবাল বলেন— “গত ৩ জুলাই পঞ্চগড়ে ‘জুলাই পদযাত্রা’ চলাকালে সারজিস আলম বলেছিলেন, ‘বান্দরবান হচ্ছে শাস্তির জায়গা, যেখানে চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়।’ একজন জাতীয় নেতার মুখে এমন কটূক্তি শুধু দুঃখজনকই নয়, এটি পার্বত্য চট্টগ্রামের আত্মমর্যাদাকে সরাসরি আঘাত।”
তিনি আরও বলেন, “পার্বত্য অঞ্চলকে দুর্নীতিবাজদের নির্বাসনস্থল হিসেবে উপস্থাপন করে সারজিস আলম পুরো অঞ্চলের মানুষের সম্মান ক্ষুণ্ন করেছেন।”
আসিফ ইকবাল হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন— “অবিলম্বে সারজিস আলম তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা না চাইলে বান্দরবানে এনসিপির প্রবেশ ঠেকাতে ছাত্র সমাজ রাজপথে নামবে। প্রয়োজনে বান্দরবানকে এনসিপির জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের বান্দরবান জেলা শাখার সহ-সভাপতি মাহির ইমতেছার, সাধারণ সম্পাদক হাবিব আল মাহমুদ, খালিদ বিন নজরুল, আমিনুল ইসলামসহ ছাত্রসমাজের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, ৩ জুলাই পঞ্চগড়ে এক কর্মসূচিতে সারজিস আলম বান্দরবানকে ‘শাস্তির জায়গা’ হিসেবে উল্লেখ করে মন্তব্য করেন, দুর্নীতিগ্রস্ত ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত কর্মকর্তাদের এ জেলায় বদলি করা হয়। তার সেই বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে পার্বত্য অঞ্চলে নিন্দার ঝড় ওঠে।