খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার লোগাং এলাকায় রবিবার (২৭ জুলাই) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। এতে পুরো এলাকায় চরম উদ্বেগ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, করল্যাছড়ি ও তারাবন গির্জা এলাকায় ভারী অস্ত্রের গুলির শব্দ শোনা যায়। এতে বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং অনেকেই ঘর থেকে বের হতে সাহস পাননি।
এ বিষয়ে পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, “সকাল থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে বলে খবর পেয়েছি। তবে কাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের তথ্যও পাওয়া যায়নি।”
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় দুই আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল—প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এবং সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)-এর মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই বিরোধের জেরেই গোলাগুলির ঘটনা ঘটতে পারে।
তবে ইউপিডিএফ খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা দাবি করেছেন, “আমাদের সঙ্গে কোনো ধরনের সংঘর্ষ বা গোলাগুলির ঘটনা ঘটেনি।” অপরদিকে, জেএসএস-এর পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত শুক্রবার রাতে দীঘিনালার নারাইছড়ি এলাকায় ইউপিডিএফ ও জেএসএস-এর মধ্যে গোলাগুলির খবর পাওয়া যায়। সেই ঘটনায় চারজন নিহত হওয়ার গুঞ্জন থাকলেও কেউ তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি।
এ বিষয়ে এখনো প্রশাসনের পক্ষ থেকেও বিস্তারিত কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন।
সিটিজি পোস্ট/ জাউ