চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
আজ সোমবার ১ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান ফটকে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি মুহাম্মদ আলী বলেন, ‘‘গত পরশু রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটের কাছে লন্ডনী বিল্ডিং এলাকায় ঘটনাটি শুরু হয়। রাত ১২টার দিকে এক ছাত্রী বাসায় প্রবেশ করতে চাইলে দারোয়ানের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় এবং একপর্যায়ে দারোয়ান তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। বিষয়টি শিক্ষার্থীদের চোখে পড়লে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষে রূপ নেয়।’’
তিনি জানান, ‘‘কিছু উত্তেজিত শিক্ষার্থীরাও সামাজিক মাধ্যমে একে অপরকে ডেকে সংঘর্ষে যুক্ত হয়। স্থানীয়দের হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল, যা দিয়ে তারা শিক্ষার্থীদের গুরুতর আহত করে। এসময় পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কেউ পাশে দাঁড়ায়নি বলে দাবি করেন তিনি।’’
ঘটনার সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের তৎপরতা সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমরা চবি শিবির বারবার চেষ্টা করেছি উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের শান্ত করে ঘটনার শান্তিপূর্ণ সমাধান নিশ্চিত করতে। আমরা জানি জোবড়াবাসীদের বাড়িতে খাবারের প্লেট না থাকলেও একটা একটা রামদা থাকে। স্থানীয়দের ধারালো অস্ত্র হাত থেকে রক্ষা করার জন্য শিবির ও ছাত্রদল একসাথে ব্যারিকেড দিয়ে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু কিছু উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের কারণে আজকে এতোগুলো শিক্ষার্থীর রক্ত ঝরেছে।”
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রথম দিন রাতেই প্রায় ৭৫ জন শিক্ষার্থী আহত হন। আর দ্বিতীয় দিনের সংঘাতে ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এর মধ্যে নাঈমুল ইসলাম গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “স্থানীয়দের অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছে যুবলীগ নেতা হানিফ ও ছাত্রলীগ নেতা ইকবাল গংয়ের লোকেরা। হাটাজারি থানার ওসি এখনো স্থানীয় আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতাদের গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে আজকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর এতো হামলা করতে সক্ষম হলো।”
ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে ৪টি দাবি:
১। প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে আহত শিক্ষার্থীদের উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা
২। সকল সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে হবে এবং পুরো এলাকা অস্ত্রমুক্ত করা
৩। ক্যাম্পাসের স্থায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিতে হবে
৪। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি রাখতে হবে
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের সেক্রেটারি মুহাম্মদ পারভেজ, চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ শাখা শিবিরের সভাপতি ইব্রাহীম হোসেন রনি ও চবি শিবিরের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সিটিজি পোস্ট/ এসএইচএস
১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) ডিপ্লোমা সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে ‘লাল কার্ড’ প্রদর্শন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে এ কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা হাতে লাল কার্ড তুলে ধরে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ষড়য...
১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৩১ আগস্ট, ২০২৫
৩১ আগস্ট, ২০২৫
১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) ডিপ্লোমা সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে ‘লাল কার্ড’ প্রদর্শন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে এ কর্মসূচি পালন করেন বিশ...