বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক ড. এমএম আকাশ প্রশ্ন তুলেছেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস কার, কোন অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে ক্ষমতায় বসেছেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার পতনের পর ছাত্রদের ইচ্ছায় সরকার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ায় রাজনৈতিক দলগুলো তাকে সমর্থন দিয়েছিল। তখন সিপিবি-ও শর্ত দিয়েছিল, যেন গ্রহণযোগ্য সময়ের মধ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা নির্বাচিত সরকারের হাতে তুলে দিয়ে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
কিন্তু ড. আকাশের অভিযোগ, অধ্যাপক ইউনূস সেই প্রতিশ্রুত পথে যাননি। বরং অপ্রত্যক্ষভাবে রাজনৈতিক দল গঠনের কৌশল নিয়েছেন, বিদেশিদের হাতে বন্দর দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন এবং করিডোর দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি প্রশ্ন রাখেন, “ইউনূস আসলে কার হয়ে কাজ করছেন?”
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম জেলা সিপিবির ত্রয়োদশ জেলা সম্মেলনের উদ্বোধনী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি জানান, সরকার সংস্কারের নামে সাত হাজার পৃষ্ঠার দলিল তৈরি করেছে, ফলে দেশের মানুষ এখন নির্বাচন নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে। নির্বাচন আদৌ হবে কি না, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।
অধ্যাপক আকাশ অভিযোগ করেন, লন্ডন সফরে গিয়েও অধ্যাপক ইউনূস বিএনপি নেতা তারেক রহমানের সাথে বৈঠক করেছেন এবং পরে ঘোষণা দিয়েছেন ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে। এতে বোঝা যাচ্ছে, তিনি স্বেচ্ছায় নয় বরং চাপে পড়ে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, “ড. ইউনূস এখন যে বাঘের পিঠে সওয়ার হয়েছেন, সেখান থেকে কীভাবে নামবেন, তা তিনিই জানেন না।”
সিপিবি নেতা এমএম আকাশ অধ্যাপক ইউনূসকে সরাসরি উদ্দেশ করে বলেন, “আপনাকে দিয়ে আর কিছু হবে না। সংস্কার ও বিচার নিয়ে আপনার কর্মকাণ্ড মানুষকে কোনো আশা দিতে পারছে না। বরং তালবাহানা না করে নির্বাচন দিয়ে বাঘের পিঠ থেকে নেমে আসুন। এতে আপনার, দেশের এবং জাতির মঙ্গল হবে।”
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে কখনও প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দলের উত্তরসূরিরাও পতিত স্বৈরাচার হয়ে রাজাকারদের সাথে আপস করেছে। ফলে আজ রাজাকাররা মুখ বেঁধে হাসছে এবং ক্ষমতায় ফেরার চেষ্টা করছে। পাকিস্তানের মন্ত্রীরাও এসে বাংলাদেশের মানুষকে সবক দেওয়ার দুঃসাহস দেখাচ্ছে।
এমএম আকাশ জোর দিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও বাহাত্তরের সংবিধানের প্রশ্নে সিপিবি কোনো আপস করবে না। তিনি ঘোষণা দেন, “আমরা রাজাকার-আলবদরদের হাত থেকে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ রক্ষা করব। এই বাংলাদেশ হবে গরিব, মেহনতি, খেটে খাওয়া মানুষের। পাকিস্তানের ২২ পরিবারের মতো সালমান রহমান আর এস আলমের বাংলাদেশ আমরা চাই না।”
সম্মেলনের উদ্বোধন হয় চট্টগ্রাম নগরীর চেরাগি পাহাড় মোড়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে। পতাকা উত্তোলন করেন সিপিবি নেতা অধ্যাপক ড. এমএম আকাশ এবং চট্টগ্রাম জেলা সিপিবির সভাপতি অশোক সাহা। এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন দলের সংস্কৃতি শাখার কর্মীরা।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা সিপিবির সভাপতি অধ্যাপক অশোক সাহা এবং সঞ্চালনা করেন সহকারী সাধারণ সম্পাদক নুরুচ্ছাফা ভূঁইয়া। এতে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সদস্য মৃণাল চৌধুরী ও জেলা সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।
উদ্বোধনী সমাবেশ শেষে লাল পতাকার মিছিল বের করা হয়। পরে নগরীর কাজির দেউড়ির একটি কমিউনিটি সেন্টারে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
সিটিজি পোস্ট /এমসি
৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, "চোখের সুরক্ষায় রোগ প্রতিরোধই সবচেয়ে উত্তম উপায়। নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা ও স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস মেনে চললে দৃষ্টিশক্তি দীর্ঘদিন ভালো রাখা সম্ভব। আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং জীবনযাত্রায় স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। সমাজের সামর্থ্যবানরা যদি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায় তবে অনেক মানুষই এ ধরনের বিনা...
৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, "চোখের সুরক্ষায় রোগ প্রতিরোধই সবচেয়ে উত্তম উপায়। নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা ও স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস মেনে চললে দৃষ্টিশক্তি দীর্ঘদিন ভালো রাখা সম্ভব। আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং জীবনযাত্রায় স্বাস্থ্যকর অ...