বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রামের পটিয়ার ঐতিহ্যবাহী আল জামিয়া আল ইসলামিয়া জিরি মাদ্রাসা পরিদর্শনকালে আলেম-উলামাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সালাহ উদ্দীন আহমদ বলেন, “বিএনপি কখনোই ইসলাম বিদ্বেষী দল নয়—এটি একটি অপপ্রচার। আমাদের দলের ইতিহাসেই রয়েছে সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ সংযোজন এবং আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসকে রাষ্ট্রের মূলনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করা। ইসলাম বিদ্বেষী শক্তির পতন হয়েছে, ফ্যাসিবাদী শক্তি আওয়ামী লীগের পতন ঘটেছে। আল্লাহর ইচ্ছায়ই এই অবসান ঘটেছে।”

তিনি আরও বলেন, “এই সময়ে অনেক আলেম-উলামা ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থী শাহাদাত বরণ করেছেন। শাপলা চত্বরে নিরীহ মানুষদের রক্ত ঝরেছে—সে রক্ত বৃথা যেতে পারে না। রক্ত দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার আমাদের সংরক্ষণ করতে হবে। ভবিষ্যত প্রজন্মকে যেন আর গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিতে না হয়, সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

বিএনপি নেতা আরও বলেন, “বাংলাদেশে ৯২ ভাগ মানুষ মুসলমান আর বাকি ৮ ভাগ বিভিন্ন ধর্মের অনুসারী। আমরা সবাই এ দেশের নাগরিক এবং সমান অধিকার ভোগ করি। ইসলামের শিক্ষা হলো সব নাগরিকের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করা। রাজনৈতিক স্বার্থে ধর্মকে ব্যবহার করা অনুচিত। ইসলাম কোনো দলের সম্পত্তি নয়; ইসলাম সবার জন্য।”

চাকসু নির্বাচনে বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে সালাহউদ্দীন আহমদ বলেন, “ছাত্র রাজনীতি ও জাতীয় রাজনীতি আলাদা। ছাত্র রাজনীতি জাতীয় নেতৃত্ব গঠনের ভিত্তি। জনগণের রায়ে আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে মাদ্রাসা শিক্ষায় গুণগত পরিবর্তন আনা হবে।”

মতবিনিময় সভায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী ও আল জামিয়া আল ইসলামিয়া জিরির প্রধান পরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ খুবাইব বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল, পটিয়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গাজী মুহাম্মদ শাহজাহান জুয়েল, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়া, সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনামসহ দক্ষিণ জেলা, পটিয়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

সিটিজিপোস্ট/ এসএইচএস