রোববার (১৯ অক্টোবর) তাকে চট্টগ্রাম আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া।

ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, ‘‘চেক প্রতারণা সংক্রান্ত এনআই এক্ট মামলার ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে জুয়েল চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে পরবর্তীতে গত ২৯ জুলাই বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারীদের দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’’

সাবেক ছাত্রনেতা নুর উদ্দিন জুয়েল চৌধুরী বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান (পদস্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। তিনি রাউজান পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বক্স এলাহি চৌধুরী বাড়ির মৃত মুছা প্রকাশ ইছা চৌধুরীর ছেলে।

পরিবারের দাবি, ‘‘গত শুক্রবার সকালে ডিবি অফিসের পরিচয়ে পুলিশের পোশাক পরা কয়েকজন ব্যক্তি জুয়েল চৌধুরীকে তুলে নিয়ে যায়।’’ এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন বলে অভিযোগ করেন তার স্ত্রী ফিরোজা চৌধুরী।

ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া আরও জানান, ‘‘চট্টগ্রাম নগরী থেকে গ্রেপ্তারের পর শনিবার রাউজান থানার এসআই আবদুর রশিদ, সিএমপি ডিবি ও এলআইসির সহযোগিতায় তাকে মূলতবি সাজা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা এনআই এক্ট মামলায় (সিআর মামলা) সিএমপি পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ের এলআইসি শাখা থেকে জেলা গোয়েন্দা শাখায় হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীতে ২৯ জুলাইয়ের সংঘর্ষের মামলায়ও তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।’’ রবিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।