৯ রাজনৈতিক হত্যার মধ্যে ৬ জনই গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী
চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের মদুনাঘাট এলাকায় মুখোশধারী দূর্বৃত্তদের ব্রাশফায়ারে খুন হয়েছেন রাউজানের বিএনপি নেতা আব্দুল হাকিম চৌধুরী (৫০)।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে হাটহাজারী উপজেলার মদুনাঘাট ব্রীজের উত্তরাংশে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত আব্দুল হাকিম রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের পাঁচখাইন এলাকার মৃত আলী মদন চৌধুরীর পুত্র এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ‘‘রাউজান থেকে মুখোশ পরিহিত ৬–৭ জন দূর্বৃত্ত মোটরসাইকেলযোগে মদুনাঘাট ব্রীজ পার হয়ে রাউজানের প্রবেশমুখে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর রাউজান থেকে শহরমুখী একটি সাদা পাজেরো গাড়ি পৌঁছালে তারা প্রথমে গাড়ির সামনের চাকায় গুলি চালায়। এরপর গাড়ির সামনের গ্লাস ও বাম পাশের দরজায় চালকের পাশের আসনে বসে থাকা হাকিম চৌধুরীকে লক্ষ্য করে ৮–১০ রাউন্ড গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা পরে তাকে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’’
মদুনাঘাট তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাস জানান, “ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে। বিস্তারিত তদন্ত শেষে জানানো হবে।”
রাউজান উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ আহমেদ বলেন, “ঘটনাটি কারা ঘটিয়েছে তা এখনও নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।”
তিনি আরও জানান, "ঘটনার পর প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে এলাকাজুড়ে মাইলখানেক যানজটের সৃষ্টি হয় এবং যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন।"
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯১ সাল থেকে হাকিম বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে ২০২২ সালের দিকে তিনি আওয়ামী লীগ নেতা ও নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া এবং যুবলীগ নেতা সেকান্দরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতেও সম্পৃক্ত হন। তাদের সহায়তায় তিনি ব্রাহ্মণহাট এলাকায় গরুর খামার, মার্কেট ও গৃহনির্মাণ সামগ্রীর ব্যবসা গড়ে তোলেন। এর আগে “দেশ হারবাল” নামে একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতেন এবং ভিডিও পাইরেসির অভিযোগে কয়েক দফা গ্রেপ্তারও হন।
গত ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি পুনরায় গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে রাজনীতিতে সক্রিয় হন। রাজনীতির পাশাপাশি তার “হামিম এগ্রো” নামে বড় গরুর খামার, কাপ্তাই নতুন রোডে গরু বিক্রয় কেন্দ্র এবং বালুর ব্যবসা ছিল বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাউজানে মোট ৯টি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, যার মধ্যে ৬ জনই গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী ছিলেন। তারা হলেন: হলদিয়ার যুবদল নেতা কমর উদ্দিন জিতু, বাগোয়ানের যুবদল নেতা আব্দুল্লাহ মানিক, রাউজান সদরের যুবদল কর্মী মো. ইব্রাহিম, কদলপুরের যুবদল নেতা মো. সেলিম, যুবদল নেতা মো. দিদারুল আলম এবং সর্বশেষ বিএনপি নেতা আব্দুল হাকিম চৌধুরী।
এদিকে আব্দুল হাকিম চৌধুরী হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের নোয়াপাড়া ও চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি মহাসড়কের মুন্সিরঘাট এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীরা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন।
সিটিজিপোস্ট/ এসএইচএস
৮ অক্টোবর, ২০২৫
চট্টগ্রামের হাটহাজারীর মদুনাঘাট এলাকায় গিয়াস কাদের অনুসারী বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আব্দুল হাকিমকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে হাটহাজারী থানা পুলিশ। তবে এখন অব্দি এই ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। হাটহাজারী সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো. তারেক আজিজ সিটিজি পোস্টকে জানান, "উক্ত ঘটনায় প্রাথমিকভাবে চারজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ...
৮ অক্টোবর, ২০২৫
৭ অক্টোবর, ২০২৫
৭ অক্টোবর, ২০২৫
৬ অক্টোবর, ২০২৫
৮ অক্টোবর, ২০২৫
চট্টগ্রামের হাটহাজারীর মদুনাঘাট এলাকায় গিয়াস কাদের অনুসারী বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আব্দুল হাকিমকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে হাটহাজারী থানা পুলিশ। তবে এখন অব্দি এই ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। হাটহাজারী সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো. তারেক...