রাঙামাটিতে টানা ভারী বর্ষণে একাধিক জায়গায় পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে শহরের জেলা পরিষদ এলাকার পেছনে পাহাড়ধসে এক মা ও তাঁর ছেলে আহত হয়েছেন। অন্যদিকে কাউখালীতে একটি কালভার্ট ভেঙে পড়ায় সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া বেশ কিছু বসতবাড়ি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে।
স্থানীয় প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, রোববার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত টানা বৃষ্টিপাত হয়। আজ সোমবার সকাল পৌনে আটটার দিকে জেলা পরিষদ এলাকার পেছনে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) কার্যালয়ের পাশে হঠাৎ পাহাড় ধসে পড়ে। এতে মাটিচাপা পড়ে আহত হন এক নারী ও তাঁর ছেলে। তাদের উদ্ধার করে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার পর সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে চাল, শুকনো খাবার ও নগদ তিন হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রিয়াদ মাহমুদ।
এদিকে, একই সময়ে রাঙামাটি নার্সিং ইনস্টিটিউটের পাশে একটি সীমানাপ্রাচীর ধসে পড়েছে। এতে একটি ভবনের ক্ষয়ক্ষতি হয়। দেয়ালধসের আশঙ্কায় আশপাশের কয়েকটি পরিবার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
অপরদিকে, সকালে কাউখালী উপজেলার কলমবতি ইউনিয়নের ছোটদুলু-বটতলী সড়কের একটি কালভার্ট ভেঙে পড়ে। এর ফলে সড়কটি দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
শহর ও শহরতলির বিভিন্ন এলাকায় আরও কয়েকটি ছোট-বড় পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে বহু ঘরবাড়ি ও সরকারি স্থাপনা ঝুঁকিতে রয়েছে।
রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিফাত আসমা জানান, বিএডিসি অফিসের পাশে পাহাড়টি হঠাৎ ধসে পড়ে এবং মাটি ঘরের ভেতরে বিছানা পর্যন্ত চলে যায়। ভাগ্যক্রমে প্রাণহানি ঘটেনি, তবে আহত হয়েছেন মা ও ছেলে। নার্সিং ইনস্টিটিউটের পাশে দেয়াল ধসের ফলে আশপাশের ভবনগুলোও মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে।