জুলাই যোদ্ধা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার প্রতিবাদে প্রশাসনের ঘোষিত অর্ধদিবস শোক কর্মসূচিকে প্রত্যাখ্যান করে পূর্ণদিবস ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ‘সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’ নামের একটি নতুন ছাত্র প্ল্যাটফর্ম।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয় এই প্ল্যাটফর্মের সদস্যরা। প্রথমে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে তালা দেওয়া হয়, এরপর পর্যায়ক্রমে কলা ভবন, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ভবনেও তালা দেয়া হয়। আন্দোলনকারীরা জানায়, বিজ্ঞান অনুষদসহ অন্যান্য একাডেমিক ভবনগুলোতেও তালা দেয়া হবে এবং প্রশাসনিক ভবন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হবে ধর্মঘটের অংশ হিসেবে।
এই আন্দোলনের নেতৃত্বে রয়েছে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা এবং কয়েকটি বামধারার ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা। তারা দাবি করেছে, শুধুমাত্র অর্ধদিবস শোক পালন যথেষ্ট নয়—এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে কার্যকর অবস্থান নিতে হবে প্রশাসনকে।
মিছিল থেকে আন্দোলনকারীরা উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান ও প্রক্টর ড. সাইফুদ্দীন আহমেদ-এর পদত্যাগ দাবি করেন। বিজয় একাত্তর হল ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক সাকিব বিশ্বাস বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়ায় আমরা উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ চাই।”
‘সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’ প্ল্যাটফর্ম থেকে সকল শিক্ষার্থীকে আহ্বান জানানো হয়েছে, আগামীকাল (১৬ মে) কেউ যেন কোনো ক্লাস বা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করে এবং প্রশাসনিক কোনো কার্যক্রমে না জড়ায়।
ধর্মঘট শেষে বিকাল ৫টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে প্ল্যাটফর্মটি।
সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে ছাত্র রাজনীতি এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। এই ধর্মঘট আন্দোলনের ধারাকে আরও বেগবান করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।