তফসিল ঘোষণা করে জাতীয় নির্বাচনকে একতরফা করার নীলনকশার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে
ফটিকছড়ি বাজারে মশাল মিছিল বের করে উপজেলা যুবদলের নেতাকর্মীরা। মিছিলে অংশ নেয়া একরামুল হককে বাড়িতে না পেয়ে তার বড়ভাই এমদাদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, মশাল মিছিল করার অপরাধে উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের বাসায় পুলিশ তল্লাশি চালিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল রাতের এই মশাল মিছিলে অংশ নেবার অভিযোগে ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক একরামুল হক একরামের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। গভীর রাতে একরামকে বাড়িতে না পেয়ে তার বড় ভাইকে এমদাদুল হককে (অরাজনৈতিক ব্যক্তি) তুলে নিয়ে যায় ভূজপুর থানা পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, একরাম বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও এমদাদ রাজনীতির সাথে জড়িত নয়।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয় এমদাদকে।
এসময় একরামের সাথে যোগাযোগ করতে চেষ্টা করা হলে তিনি জানান “সামান্য মিছিলে অংশ নেওয়ার কারণে পুলিশ আমাকে খুঁজছে। আমার বড়ভাই কোনো রাজনৈতিক দলের সাথেও জড়িত না। আমাকে না পেয়ে তারা আমার ভাইকে তুলে নিয়ে গেলো”
উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক সরওয়ার আলমগীর বলেন, মিছিলে অংশ নেবার অপরাধে যুবদল নেতা একরামকে গ্রেফতার করতে গিয়ে পুলিশ তাকে বাড়িতে পায় নি। একারণে তার বড়ভাই যিনি কোন রাজনীতির সাথে জড়িত নন,তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদী সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতনের চূড়ান্ত রূপ দেখাচ্ছে। রাজনীতি করা যেমন অপরাধ নয়, তেমনিভাবে গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলাও অপরাধ নয়। কিন্তু দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের আটক করে নিরাপরাধ মানুষকে মামলায় জড়ানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে ভুজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ মামলা তদন্তের পর বলা যাবে কে অপরাধী। নিরপরাধ মানুষকে পুলিশ হয়রানি করে না।’