নগরীর চান্দগাঁও থানা এলাকায় সাত বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার করেছে এক যুবক। এ ঘটনায় রাকিবুল ইসলাম মুন্না (২৪) নামে সেই যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় লোকজন।
সাত বছর বয়সী মারিয়া লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থানার রামদয়াল এলাকার মো. বাকের হোসেনের মেয়ে। সে স্থানীয় চান্দগাঁও এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। গ্রেফতার মুন্না কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন কক্সশাহীর টিকা এলাকার মৃত ইউসুফের ছেলে।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল আটটার দিকে চান্দগাঁও থানাধীন সানোয়ারা আবাসিক সংলগ্ন চান্দার বাপের বাড়ির দিদার কলোনিতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুর বাবার বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, নিহত শিশুর বাবা রিকশাচালক এবং মা পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। শিশুটির মা সকাল সাড়ে ৭টায় গার্মেন্টেসে চলে যায়। এরপর প্রতিদিনের মতো মারিয়াকে বাসায় রেখে রোববার সকাল পৌনে ৮টার দিকে রিকশা নিয়ে বের শিশুটির বাবা। রিকশা নিয়ে মৌলভী পুকুর পাড় এলাকায় ভাড়ার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন। সকাল নয়টার দিকে প্রতিবেশী এক নারী তাকে ফোন করে জানান তার মেয়ে মারা গেছে। এর তিনি বাসায় এসে দেখেন বিছানায় মেয়ের মরদেহ শোয়ানো অবস্থায় রয়েছে। গলায়, হাত ও পায়ে দাগ রয়েছে। শরীরের গেঞ্জি ছাড়া কোনো কাপড় ছিল না।
স্থানীয়রা জানান, বাকেরের (শিশুটির বাবা) মেয়ে প্রতিদিন বাসায় থাকতো। বাসার দরজা দিনের বেলা খোলা থাকতো। কিন্তু রোববার সকালে বাসার দরজা বন্ধ দেখে পাশের বাসার লোকজন ভেতরে ঢুকতেই রাকিবুল ইসলাম মুন্না নামে এক যুবক তাদের ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় তাদের চিৎকারে কলোনির লোকজন ধাওয়া দিলে মুন্না পাশের একটি ডোবায় নেমে পড়ে। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে তাকে ডোবা থেকে ধরে তাদের হাতে সোপর্দ করা হয়।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল ইসলাম বলেন, সানোয়ারা আবাসিক সংলগ্ন চান্দার বাপের বাড়ির দিদার কলোনিতে রিকশাচালক বাকের পরিবার নিয়ে বসবাস করে। তার স্ত্রীও গার্মেন্টেসে চাকরি করেন। তাদের সাত বছর বয়সী মেয়ে সবসময় বাসায় থাকতো। রোববার সকালে মা-বাবা বাসায় না থাকার সুযোগে রাকিবুল ইসলাম মুন্না বাসায় ঢুকে ভিকটিমকে হাত পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। পুলিশ যখন মরদেহ উদ্ধার করে, তখন ভিকটিমের গায়ে পরনের কাপড় ছিল না। ঘটনাস্থলে মুন্নার লুঙ্গিও পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে ওই শিশুকে হত্যা করা হতে পারে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।