চট্টগ্রাম মহানগরীর যানজট কমাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নির্ধারণ করে প্রস্তাবনা দেবে চট্টগ্রাম ট্রাফিক বিভাগ। সেই ভিত্তিতে নগরীর সড়ক ব্যবস্থাকে সাজাবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে চট্টগ্রামের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, পে-পার্কিং, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও সড়কে অপরাধ নিরসন বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
রোববার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে চট্টগ্রামের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন বিষয়ে সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎকালে এ সিদ্ধান্ত হয়।
মেয়র বলেন, চট্টগ্রামের যানজট নিরসনে ট্রাফিক বিভাগ প্রস্তাবনা নিয়ে আসলে, সে প্রস্তাবনার আলোকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন একসঙ্গে কাজ করলে চট্টগ্রামের যানজট কমানো সম্ভব। বর্তমানে পার্কিং সংকটের কারণে যত্রতত্র গাড়ি দাঁড়িয়ে থেকে শহরে যানজট বাড়াচ্ছে। এ কারণে, আমি নগরীতে পে-পার্কিং চালু করতে চাই। এছাড়া, ব্যাটারিচালিত রিকশা বর্তমানে সড়ক দুর্ঘটনার বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, এগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।
ট্রাফিক বিভাগ দ্রুততম একটি প্রস্তাবনা তৈরি করে চসিকের সঙ্গে আলোচনায় বসবে এমনটা জানায় প্রতিনিধি দলটি। নগরীতে অনেক বড় মার্কেট ও বিশাল স্থাপনায় পর্যাপ্ত পার্কিং না থাকায় নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বিশৃঙ্খলা দেখা দিচ্ছে। এজন্য পার্কিং কোথায় হবে সেটা নির্ধারণ করা প্রয়োজন। এছাড়া নগরীর যেসব সড়কে আলোকায়নের ঘাটতি আছে সেখানে আলোকায়ন করতে হবে। প্রয়োজনে ফ্লাইওভার ও প্রয়োজনীয় সড়কে ইলুমিনেটিং কালার ব্যবহার করতে হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়ার নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন ডিসি ট্রাফিক দক্ষিণ এন এম নাসিরুদ্দিন, ডিসি ট্রাফিক উত্তর মো. জয়নুল আবেদীন, ডিসি ট্রাফিক (পশ্চিম) মো. তারেক আহমেদ, ডিসি ট্রাফিক বন্দর মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেমসহ ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা অংশ নেন।