চট্টগ্রামের আনোয়ারা কোরীয় রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল (কেইপিজেড) এলাকায় ক্রমেই বেড়ে চলেছে মানুষ-হাতি সংঘাত। বন বিভাগের দাবি, হাতি তাদের প্রাকৃতিক আবাসস্থল ছাড়তে রাজি নয়, অন্যদিকে কেইপিজেড কর্তৃপক্ষ বলছে, হাতির কারণে কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
গত ২০ জুলাই তিনটি হাতি ফের কেইপিজেড এলাকায় ফিরে আসে। হাতির চলাচল নিরাপদ করতে বন বিভাগ পুরো এলাকায় অ্যালার্মযুক্ত ক্যামেরা বসানোর কাজ প্রায় শেষ করেছে। বন কর্মকর্তাদের মতে, হাতিকে স্থানান্তর কোনোভাবেই সম্ভব নয়, বরং সহাবস্থানের পথ খুঁজতে হবে।
কেইপিজেড কর্তৃপক্ষ অবশ্য ভিন্ন অবস্থানে। সহকারী মহাব্যবস্থাপক মুশফিকুর রহমান বলেন, হাতির কারণে সন্ধ্যার পর শ্রমিকরা বের হতে পারেন না। কারখানায় আসতে ভয় পাচ্ছেন। তাই আমরা ইতিমধ্যে বন বিভাগকে হাতি সরিয়ে নিতে দুই দফায় চিঠি দিয়েছি।
তবে বন বিভাগ বলছে, কেইপিজেড পাহাড় ও জঙ্গল কেটে কারখানা সম্প্রসারণ করছে, ফলে হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হচ্ছে। ডিএফও আবু নাছের মোহাম্মদ ইয়াছিন নেওয়াজ বলেন, হাতি স্থানান্তর কখনো সম্ভব নয়। বরং হাতি থাকলে কেইপিজেডের সুনাম বাড়ত।