রাঙ্গামাটিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে নিহত-১

সিটিজি পোস্ট প্রতিবেদক

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি | সিটিজি পোস্ট

প্রকাশিত হয়েছে: ২৭ নভেম্বর, ২০২৫

রাঙ্গামাটিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে নিহত-১

রাঙ্গামাটির কাউখালীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দুই দলের মধ্যে গোলাগুলিতে এক নিহত। এ ঘটনায় চার জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) কাউখালী ও রাঙ্গুনীয়া উপজেলার দুর্গম রইশ্যাবিলি নামক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তবে নিহত ও আহতের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুর রহমান সোহাগ জানান, গোলাগুলির ঘটনায় একজন নিহত ও চারজন আহত হওয়ার সংবাদ পেয়েছি। তিনি স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) ও প্রসীত গ্রুপ পন্থি ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)’র সশস্ত্র গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। তবে তিনি নিহত ও আহতদের নাম ঠিকানা জানাতে পারেননি।

স্থানীয় সূত্রগুলো থেকে জানা যায়, এলাকাটি দীর্ঘদিন ধরে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)'র নিয়ন্ত্রনে থাকলেও বেশি কিছু দিন ধরে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সন্তু লারমার দল সেটি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছিলো। ধারনা করা হচ্ছে এলাকার আধিপত্যকে কেন্দ্র করে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় সূত্র থেকে আরও জানান যায়, এসময় উভয়ের মধ্যে প্রায় ১৫০ রাউন্ড গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে দুর্গম পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি।

সংশ্লিষ্ট সুত্র ও স্থানীয়রা জানান, কাউখালী ও রাঙ্গুনীয়া উপজেলার সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা মিতিঙ্গাছড়ি ও রইশ্যাবিলি এলাকাটি ইউপিডিএফ’র প্রসীতপন্থি গ্রুপের দখলে ছিলো। গত এক সপ্তাহ যাবত উক্ত এলাকাটি পিসিজেএসএস’র একটি গ্রুপ দখলে নিতে উক্ত এলাকায় অবস্থান করে। পিসিজেএসএস’র একটি গ্রুপ উক্ত এলাকায় অবস্থান করার বিষয়ে ইউপিডিএফ’র অংগ সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র জনতার সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ও কাউখালীর ফটিকছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উষাতন চাকমা গত ২৩শে নভেম্বর সংবাদ সন্মেলন করে ঘাগড়া,মিতিঙ্গাছড়ি ও রইশ্যাবিলি এলাকায় ৩৫/৪০ জনের সশস্ত্র একটি গ্রুপ অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করার কারনে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন।

সংবাদ সন্মেলন করার তিনদিন পর গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটেছে। বুধবার বিকেল আনুমানিক পাঁচটার সময় উভয় পক্ষের মধ্যে থেমে থেমে গোলাগুলির ঘটনায় স্থানীয়রা দ্বিগবিদক ছুটতে থাকে। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

বুধবার রাত সারে দশটায় এ রিপোর্ট লেখার সময় কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুর রহমান সোহাগ গোলাগুলির ঘটনায় একজন নিহত ও চারজন আহত হওয়ার সংবাদ নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও বলেন, এলাকাটি দুর্ঘম হওয়াতে এখনো নিশ্চিত করতে পারছিনা, নিশ্চিত হলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তবে এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত সংগঠন দুটির পক্ষ কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

সিটিজিপোস্ট/জাউ

ক্যাটাগরি:
পার্বত্য চট্টগ্রাম