রবিবার (২ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টা থেকে কারখানায় ইউরিয়া উৎপাদন পুনরায় শুরু হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সিইউএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মিজানুর রহমান।

সিইউএফএল সূত্রে জানা যায়, গত ১১ এপ্রিল কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেডিসিএল) কারখানাটিতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। এর ফলে উৎপাদন পুরোপুরি স্থবির হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে গত ১৯ অক্টোবর সকাল ১১টা থেকে গ্যাস সরবরাহ পুনরায় চালু করা হয়। যান্ত্রিক প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর রবিবার রাতে উৎপাদন শুরু হয়।

গ্যাসনির্ভর এই কারখানায় পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনের জন্য দৈনিক ৪৮ থেকে ৫২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রয়োজন হয়। গ্যাস–সংকট ও যান্ত্রিক জটিলতার কারণে গত অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় আড়াই লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছিল।

বাংলাদেশে বছরে প্রায় ২৬ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া সারের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে সিইউএফএলসহ বিসিআইসির অন্যান্য রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানাগুলো মিলিয়ে প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদিত হয়। বাকি ১৬ লাখ মেট্রিক টন সার উচ্চমূল্যে আমদানি করতে হয় সরকারকে।

১৯৮৭ সালের ২৯ অক্টোবর জাপানের কারিগরি সহায়তায় কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ তীরে আনোয়ারা উপজেলার রাঙ্গাদিয়ায় প্রতিষ্ঠিত হয় সিইউএফএল। প্রতিষ্ঠার সময় কারখানার দৈনিক উৎপাদনক্ষমতা ছিল ১ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া, যা বর্তমানে ১ হাজার ২০০ মেট্রিক টন। এছাড়া বার্ষিক প্রায় ৩ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন অ্যামোনিয়া উৎপাদন করতে পারে প্রতিষ্ঠানটি।

সিইউএফএলের এমডি মিজানুর রহমান বলেন, “গত ১৯ অক্টোবর থেকে গ্যাস সরবরাহ পাওয়া গেছে। এখন পূর্ণমাত্রায় উৎপাদন চলছে। গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত থাকলে এবং যান্ত্রিক ত্রুটি না দেখা দিলে এই ধারা বজায় থাকবে।”

সিটিজিপোস্ট/জাউ