চাঁদাবাজির মামলায় ইউপিডিএফ নেতা মাইকেল চাকমার আট বছরের কারাদণ্ড
নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
প্রকাশিত হয়েছে: ৯ অক্টোবর, ২০২৫

রাঙামাটিতে চাঁদাবাজির মামলায় পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সংগঠক মাইকেল চাকমাকে আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় ইউপিডিএফের আরেক নেতা সুমন চাকমাকেও সমান মেয়াদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে রাঙামাটির বিশেষ জজ আদালত-২-এর বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তাওহিদুল হক এই রায় ঘোষণা করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৩০ অক্টোবর লংগদু উপজেলার একটি চাঁদাবাজির ঘটনায় মাইকেল চাকমা, সুমন চাকমা ও প্রদীপ চাকমা—এই তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করে লংগদু থানা পুলিশ। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত মাইকেল ও সুমন চাকমাকে দোষী সাব্যস্ত করে কারাদণ্ড দেন এবং তৃতীয় আসামি প্রদীপ চাকমাকে খালাস দেন।
পুলিশ জানায়, ২০০৭ সালে লংগদুর ভাইবোনছড়া এলাকায় খুন, চাঁদাবাজি ও মারধরের অভিযোগে অভিযান চালানো হয়। এ সময় মাইকেল চাকমাকে একটি দেশি অস্ত্র ও ছয় রাউন্ড গুলিসহ আটক করা হয়। পরে লংগদু থানার এএসআই শরীফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, ইউপিডিএফ নেতা মাইকেল চাকমাকে ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল ঢাকার উত্তরার বাসা থেকে সাদা পোশাকধারী ব্যক্তিরা তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে। টানা পাঁচ বছর নিখোঁজ থাকার পর তিনি ২০২৪ সালের ৭ আগস্ট ফিরে আসেন। পরে তিনি দাবি করেন, এ সময় তাকে গোপন স্থানে ‘আয়নাঘরে’ আটকে রাখা হয়েছিল।




