পটিয়ার ইউপি সদস্য বশর বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ আনোয়ারায় গ্রেফতার
পটিয়া প্রতিনিধি | সিটিজি পোস্ট
প্রকাশিত হয়েছে: ২৫ নভেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শফিউল বশর (৩২) কে ৩ হাজার ৩৫০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আনোয়ারা সেনা ক্যাম্প ও আনোয়ারা থানা পুলিশের একটি যৌথ টিম এ অভিযান চালায়।
আনোয়ারা থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কালাবিবি দিঘীর মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ইউপি সদস্য শফিউল বশর পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের পূর্ব কোলাগাঁও ১ নম্বর ওয়ার্ডের নলান্দা গ্রামের খুইল্লা মিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানায়, স্থানীয় একটি মাদকচক্র সক্রিয়ভাবে ইয়াবা লেনদেন করছে—এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আনোয়ারা থানার একটি টিম ওই এলাকায় অবস্থান নেয়। সোমবার সকালে কালাবিবি দিঘীর মোড় এলাকায় সন্দেহজনক আচরণ দেখে শফিউলকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তার বহন করা শপিং ব্যাগ তল্লাশি করলে দুটি সাদা পলিথিনে মোড়ানো ১ হাজার ৭৭৫ পিস করে মোট ৩ হাজার ৫৫০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। এছাড়া মাদক বিক্রয়লব্ধ ৭ হাজার ৬০০ টাকা জব্দ করা হয়।
আনোয়ারা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক আতিকুর রহমান বলেন, ইউপি সদস্য শফিউল বশর দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। গোপন সোর্সের তথ্যের ভিত্তিতে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। তার ব্যাগ থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা মনে করছি, সে একটি বড় চক্রের সক্রিয় সদস্য। তার কাছ থেকে উদ্ধারকৃত ইয়াবার মূল্য ১০ লাখ ৬৫ হাজার টাকা।
তিনি আরও বলেন, উদ্ধারকৃত ইয়াবার উৎস শনাক্তে তদন্ত চলছে। প্রয়োজন হলে অন্যান্য এলাকাতেও অভিযান পরিচালনা করা হবে। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শফিউল বশরের মাদকের উৎস, সরবরাহ চক্র এবং অর্থনৈতিক লেনদেনসহ সব দিক খতিয়ে দেখা হবে।
কোলাগাঁও এলাকার স্থানীয়রা জানান, এলাকায় কিছুদিন ধরে অচেনা লোকজনের আনাগোনা বেড়ে গিয়েছিল। তার সহযোগী কালা সাজ্জাদসহ এ সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে সাধারণ মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছিল। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পেতেন না। স্থানীয়দের দাবি, এবার এক এক করে সবাই তাদের অপরাধের বিস্তারিত তুলে ধরবে এবং সিন্ডিকেটের অন্যান্য সহযোগীদেরও আইনের আওতায় আনা উচিত।
মাদক বিশ্লেষকরা বলছেন, পটিয়ায় ইয়াবা কারবারের একটি সক্রিয় রুট রয়েছে। টার্গেট থাকে স্থানীয় বাজারগুলো, যেখানে দ্রুত হাতবদল করা যায়। কোলাগাঁওয়ের মতো গ্রামীণ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি তুলনামূলক কম থাকায় চক্রগুলো সুযোগ নেয়। একজনকে গ্রেফতার করা গুরুত্বপূর্ণ হলেও মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত পুরো নেটওয়ার্ক ধ্বংস করা। উদ্ধার হওয়া প্রতিটি চালানের পেছনে আরও বড় চক্র লুকিয়ে থাকে।
সিটিজিপোস্ট/এমএইচডি




