বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী সভাপতি আশিক চৌধুরী বলেছেন, ৩০ বছর পর মাতারবাড়ী ও মহেশখালীকে চীনের সাংহাই বা সিঙ্গাপুরের বন্দরের মতো উন্নতমানের বন্দর তথা কমার্শিয়াল হাব হিসেবে দেখতে চাই। এ সময়ের মাধ্যমে ২৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
বিডার নির্বাহী সভাপতি বলেন, "আগামী ১২০ দিনের মধ্যে প্রশাসনিক কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (মিডা) ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ৩৩ হাজার একর আয়তনের জমিতে তিনটি ধাপে এর কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে।
এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সরাসরি প্রায় দেড় লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিডা চেয়ারম্যান। এ লক্ষ্যে মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কতৃপক্ষ(মিডা) নামের একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
মহেশখালী ও মাতারবাড়ি নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিকল্পনা জানিয়ে আশিক চৌধুরী বলেন, "আমরা এটাকে টাউনশিপ হিসেবে দেখতে চাই। পৃথিবীর সবচেয়ে সাকসেসফুল ডিপ সি পোর্টস সহ টাউনশিপ সিঙ্গাপুরকে বলা হয়, এবং আরেকটা পোর্টের কথা প্রায়ই উঠে আসে সেটা হচ্ছে সাংহাই। মনে করেন যে, আমরা যদি বাংলাদেশের একটা সিঙ্গাপুর করতে চাই, বা বাংলাদেশের ভিতরে একটা শাংহাই পোর্ট করতে চাই।
প্রকল্পের পরিকল্পনা ৩০ বছরের জন্য করা হয়েছে বলে জানান তিনি। বিডা চেয়ারম্যান বলেন, "৩০ বছর পরে আমরা এই মহেশখালী মাতারবাড়ী এলাকাটাকে সিঙ্গাপুর বা সাংহাইয়ে মতো করে দেখতে চাই। এটা কোনো নৌজানের শহর না, এটা একটা স্যাটেলাইট শহর না। এটা হবে শহরতলি, চট্টগ্রামের মত আরেকটা বাড়িয়ে শহর। যেটা সংস্কারকৃত এবং নতুন ধরনের।
মাতারবাড়ি শহর হলে দেশের দেশের অর্থনীতির জিডিপিতে প্রায় দেড়শ বিলিয়ন ডলার যুক্ত হবে বলে উল্লেখ করেন আশিক চৌধুরী। তিনি বলেন, প্রায় দেড়শ বিলিয়ন ডলারের মত আমরা জিডিপিতে কোন কন্ট্রিবিউশন করছি, এই এলাকার থেকে।এটা হবে বাণিজ্যিক হাব। যে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের রিজার্ভে সঞ্চিত হবে।
প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দেড় লাখ লোকের প্রত্যক্ষ এবং প্রায় ২৫ লাখ মানুষের পরোক্ষ কর্মসংস্থান হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আশিক চৌধুরী। তিনি বলেন, “চূড়ান্তভাবে প্রায় দেড় লাখ লোকের প্রত্যক্ষভাবে কর্মসংস্থান আমরা আশা করছি। পাশাপাশি পরোক্ষভাবে প্রায় ২৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে।”
তিনি জানান, ‘‘প্রকল্পটি ৪টি পিলারের ওপর ভিত্তি করে বাস্তবায়িত হবে। এগুলো হলো— গভীর সমুদ্র বন্দর ও সরবরাহ ব্যবস্থাপনা, সুবিধা প্রদান কেন্দ্র, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং সামুদ্রিক মাছ ধরার কেন্দ্র।’’
আশিক চৌধুরী আরও জানান, "প্রকল্পটি তিনটি ধাপে ২০২৫ সাল থেকে ২০৫৫ সাল পর্যন্ত বাস্তবায়িত হবে। প্রথম পাঁচ বছরকে (২০২৫-২০৩০) ‘বিকাশকাল’ হিসেবে ধরা হয়েছে। এ সময় ফাউন্ডেশন নির্মাণ ও সড়ক সংযোগের কাজ সম্পন্ন হবে। দ্বিতীয় ধাপকে বলা হচ্ছে ‘পরিবেশ উন্নয়নকাল’, যা চলবে ২০৪৩-৪৪ সাল পর্যন্ত। এ সময় বন্দর উন্নয়নের কাজ শেষ হবে এবং বেশ কিছু শিল্প কারখানা স্থাপন করা হবে। চূড়ান্ত ধাপে (২০৪৫-২০৫৫) পর্যটন খাতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।’’
সিটিজি পোস্ট/ এসএইচএস
৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নাম, পদবী কিংবা সেনা সদস্যের ছবি ব্যবহার করে একটি মহল বিভ্রান্তিকর ও উসকানিমূলক পোস্ট প্রচার করছে।এ বিষয়ে সেনাবাহিনী তাদের ফেসবুক পেইজে জানায়, "সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের নীতিমালা অনুযায়ী সেনাবাহিনীর পরিচয় কিংবা ইউনিফর্ম পরিহিত ছবি ব্যবহার করে কোনো ধরনের পোস্ট দেওয়ার অনুমতি নেই।তারা...
৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নাম, পদবী কিংবা সেনা সদস্যের ছবি ব্যবহার করে একটি মহল বিভ্রান্তিকর ও উসকানিমূলক পোস্ট প্রচার করছে।এ বিষয়ে সেনাবাহিনী তাদের ফেসবুক পেইজে জানায়, "সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের নীতিমালা অনু...