শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দিন পিন্টুর স্মরণে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা আব্বাস বলেন,“মানবিক করিডোর বলে বিশ্বের কোনো অভিধানে কিছু নেই। একেক সময় একেক নামে এগুলো বানানো হচ্ছে। জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া কোনো করিডোর দেওয়ার অধিকার সরকারের নেই। আমরা কেন সেন্টমার্টিন যেতে পারব না?”

তিনি প্রশ্ন করেন, “সাজেক, সেন্টমার্টিন নিয়ে এনসিপি কিংবা জামায়াত কথা বলছে না কেন?” তিনি জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের (চরমোনাই) নীরবতায় বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, “বিএনপি ছাড়া কেউ করিডোর ইস্যুতে কথা বলছে না।”

আব্বাস বলেন, “সরকারে এমন কিছু উপদেষ্টা আছে, যারা দেশের নাগরিক নন। তারাই আজ দেশ পরিচালনা করছেন। এটি যেন এক ধরনের ঔপনিবেশিক শাসন।” তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ প্রশাসনে বিএনপিপন্থিদের সরিয়ে দিয়ে জামায়াত ও আওয়ামী ঘরানার লোকদের বসাচ্ছে।

সম্প্রতি রাজধানীর শাহবাগে এনসিপির আন্দোলনকে ‘সাজানো নাটক’ বলে উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন,“আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের নামে নাটক সাজিয়ে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নেওয়া হচ্ছে। ভিআইপি ট্রিটমেন্ট নিয়ে দেশ ছাড়েন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, অথচ সরকার কিছু জানে না—তারা কী জানে তাহলে?”

তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হোক, বিএনপির এতে আপত্তি নেই। তবে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিএনপিকে হেয় করতেই এসব প্রচারণা চালানো হচ্ছে।”

নাসির উদ্দিন পিন্টুকে স্মরণ করে আব্বাস বলেন, “এই বিএনপি গঠিত হয়েছে হাজারো নেতাকর্মীর আত্মত্যাগে। যারা বলে বিএনপি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন দিচ্ছে, তারা বিএনপিকে হিংসা করে। বিএনপি কখনো আওয়ামী লীগকে আশ্রয় দেয়নি, দেবেও না।”

সভায় সভাপতিত্ব করেন নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু স্মৃতি সংসদের আহ্বায়ক সাইদ হাসান মিন্টু। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, ওলামা দলের মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ