পটিয়ায় এলজিইডির ক্লাস্টার ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
পটিয়া প্রতিনিধি | সিটিজি পোস্ট
প্রকাশিত হয়েছে: ১৯ নভেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) আয়োজিত দিনব্যাপী “ক্লাস্টার ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান” শীর্ষক প্রস্তুতিমূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকাল ৯টায় পৌরসভার সভাকক্ষে পটিয়া পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানুর রহমানের সভাপতিত্বে রিজিলিয়েন্ট আরবান অ্যান্ড টেরিটরিয়াল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (আরইউটিডিপি) এর আওতায় কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
কারিগরি বিশেষজ্ঞ মো. নুরুল আমিন তালুকদারের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আরইউটিডিপি–এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী মো. মোশাররফ হোসেন।
কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন নগর পরিকল্পনাবিদ মো. সাইফুর রহমান, তামান্না সালাম, আর্কিটেক্ট ফারহানা ইসলাম, ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ার সানিম আরেফিন, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ মো. আল আমিন, সামাজিক ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ মো. জাহিদুল ইসলাম এবং টাউন লেভেল কো-অর্ডিনেশন কমিটি (টিএলসিসি) সদস্যরা।
রাজনীতিবিদদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বদরুল খায়ের চৌধুরী, মোজাম্মেল হক, মোজাফফর আহমদ, সেলিম উদ্দীন, আবসার উদ্দিন সোহেল ও মাহবুব উল্লাহ।
বক্তারা জানান, আরইউটিডিপি বাংলাদেশের নিজস্ব বিনিয়োগ প্রকল্প। বিশ্বব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে এলজিইডির মাধ্যমে জুলাই ২০২৪ থেকে জুন ২০৩০ পর্যন্ত ৬ বছরের এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে জলবায়ু-সহনশীল উন্নত নগর অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে দেশের ৮১টি পৌরসভা ও ৬টি সিটি কর্পোরেশনের প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষ উপকৃত হবেন। পাশাপাশি গ্রোথ করিডোর এলাকায় বসবাসরত আরও প্রায় ৪৬ লাখ মানুষ প্রকল্পের ইন্টারভেনশনের সুফল ভোগ করবেন।
প্রকল্পের আওতায় রাস্তা ও ফুটপাত সংস্কার, সড়কবাতি উন্নয়ন, ড্রেন নির্মাণ, পাবলিক টয়লেট, বাজার ও বাস টার্মিনালের উন্নয়ন, সুপার মার্কেট, ব্রিজ–কালভার্ট নির্মাণ এবং পৌরভবন নির্মাণসহ আধুনিক নগর সেবার বিস্তৃত উন্নয়ন কার্যক্রম নেওয়া হবে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়িত এই প্রকল্পে সামাজিক ও পরিবেশগত দিক, জলবায়ু সহনশীলতা এবং নারীর অংশগ্রহণকে প্রাধান্য দেয়া হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ইউএনও ও প্রশাসক ফারহানুর রহমান বলেন, “এই প্রকল্পের মাধ্যমে পটিয়া পৌরসভায় আধুনিক ও জলবায়ু-সহনশীল নগর ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠবে। রাস্তা, ড্রেন, সড়কবাতি, বাজার ও টয়লেটসহ নাগরিক সেবার উন্নয়ন ঘটবে। স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণে পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হলে পটিয়া একটি আধুনিক ও সবুজ পৌরসভা হিসেবে গড়ে উঠবে।”
কর্মশালায় পটিয়া পৌরসভার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা, শিক্ষকমণ্ডলী, ইমাম এবং এনজিও প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।




