ঢাকাবৃহস্পতিবার, ১৮ই জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

প্রতারিত হয়ে সাফল্যের পথে তরুণ উদ্যোক্তা আবরার

স্টাফ রিপোর্টার | সিটিজি পোস্ট
ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২২ ৮:৫৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

অনলাইন থেকে প্রতারিত হয়ে নিজেই এখন অনলাইন ব্যাবসাতে স্বাবলম্বী চিটাগং বাজার এর প্রতিষ্ঠাতা আবরারুল হাসান চৌধুরী।

২০১৮ সালে ফেসবুক ভিত্তিক একটা এফ-কমার্স(নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) থেকে পণ্য কিনে

ধোকা খেয়েছিলাম এরপর খেয়াল করলাম আমার মত আশেপাশের অনেক মানুষ একই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। অনলাইন ভিত্তিক ব্যাবসা গুলোর উপর মানুষের আস্থা চলে যাচ্ছে দেখে সেই জায়গায় কিছু করা যায় কিনা এইজন্যই চিটাগং বাজার ইনিশিয়েটিভটা নেওয়া। শুরুর দিকে অফলাইনে ৪/৫পরিবারকেই শুধু সেবা দিতাম নিজের বাসার একটা রুম ব্যাবহার করে; পরবর্তীতে একটা ছোট অফিস থেকে শুরু করে এখন প্রায় ২০০০ স্কয়ার ফিটের ওয়্যার-হাউজের কাজ ধরেছি আমরা। ১১জনের একটা টিম নিয়ে কাজ করছি প্রতিনিয়ত, এখান থেকে আরনিং এর মাধ্যমে তারাও তাদের পরিবারে ছোট পরিসরে অবদান রাখছে, সাথে ফ্রিল্যান্সার আছে ২০+ যাদেরকে আমরা প্রতি কাজের বিনিময়ে পেমেন্ট দিয়ে থাকি। ২০২৩ এর শুরু থেকেই আমরা ৫০০০+ পণ্য নিয়ে কাজ করার একটা পরিকল্পনা করছি, আশা করি আমরা সফলতা পাব ইনশাআল্লাহ।

আবার এমন না যে আমরাও পুরোপুরি ভাল, আমাদেরও কিন্তু ভুল হয়। শুরুর দিকে কিছু ভুলের সমাধান আমরা দিতে পারিনি অনভিজ্ঞতার কারণে, কিন্তু তারপর থেকে আমরা পণ্য খারাপ হলেই সম্পুর্ন পণ্য ফেরত নেয়। আবার কিছু পণ্য আছে (যেহেতু আমরা এখনো মৌসুমী জিনিস নিয়ে কাজ করছি) গ্রাহকের ভুলের কারণে নষ্ট হয়ে যায়, যেমন কাঁচা খেজুরের রস যখন আমরা দিয়েছিলাম বেশ কিছু ক্ষেত্রে এমন হয়েছে গ্রাহক ওটা রিসিভ করে সিদ্ধ না করে এক জায়গায় রেখে দিয়েছেন, ওটা গ্রাহকের ভুল; তবুও ওই জায়গায় আমরা ৫০% টাকা রিফান্ড দিয়েছি কারণ গ্রাহকের সন্তুষ্টির চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমাদের কাছে আর কিছুই নয়।

৫০০০+ পণ্য নিয়ে শুরু করার পর ১ বছর আমরা প্রফিটলেস ব্যাবসা করার একটা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি; যদি ভাগ্যে থাকে এবং পরিকল্পনা সফল হয় তাহলে চিটাগং এর মানুষ খুব শিগগিরই ভাল কিছু পেতে যাচ্ছে ইনশাআল্লাহ। এবং অবশ্যই শিগগিরই আমরা পুরো বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ার একটা প্ল্যান করব। একটা প্রপার টিম সেট করা বাকী শুধু (হেসে)।